ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে জেনে নিন
শিরোনাম দেখে হয়ত চমকে গেছেন। ঘটনা সেরকমই। পুরোটা পড়লে আপনিও একমত হবেন।
বর্তমান সময়ে কারো বিজনেস তলানীতে তো কারো বিজনেসের বাম্পার ফলন। বিজনেসে পুরো মার্কেট রিসার্চ না করে, প্ল্যানিং, বাজেটের ধার না ধেরে সময়ের স্রোতে যারা গা ভাসিয়েছিলেন তাদের এই অবস্থা স্বাভাবিক। অমুক ভাই গ্যাজেট আইটেম বিক্রি করে বড়লোক হয়েছেন, তমুক আপু ইন্ডিয়ান ড্রেস বিক্রি করে কোটিপতি! তাদের দেখেই প্ল্যানিং না করেই বিজনেস শুরু। ফলাফল বেশিদিন টিকে থাকতে পারছেন না।
ফেসবুক পেজে ব্যবসা আর কতদিন, ফেসবুক আজ ভাল তো কাল ভাল নেই। বুস্ট করেই যাচ্ছেন, প্ল্যানিং ছাড়া। সেল হচ্ছে তবে বুস্টিং খরচ আর সেলের পরিমান সমান। কতজন লোভনীয় অফার দিয়েছে ই-কমার্স ওয়েবসাইট করুন, ফেসবুকের ভরসা না করে নিজের ব্যবসা/ব্রান্ড গড়ুন। কথা কিন্তু সত্য, ওয়েবসাইটের বিকল্প নেই যদি সেটি দূরদর্শী বিজনেস হয়।
অনেকে তো হেলায় অবজ্ঞা করেছেন ওয়েবসাইট বানাতে চান না। অনেকে ওয়েবসাইট বানিয়েছেন ঠিকই কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রোডাক্ট আপ্লোড তো দূরের কথা, তৈরির পর ওয়েবসাইটে ফিরেও তাকাননি।আমাদের টাইটেল তাদের জন্য।
আরো পড়ুন আসলেই ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রয়োজন আছে কিনাঃ
কেউ হয়ত বেশ কয়েক হাজার টাকার ওয়েবসাইট বানিয়েছেন কিন্তু ওয়েবসাইটে বিজনেস টেকনিক, সেলস ফর্মূলা জানেন না। ওয়েবসাইট থেকে সেল নাই। আবার অনেকে লোভে পড়ে ২/৩ হাজার টাকার ওয়েবসাইট বানিয়েছেন ১/২ মাস পর ওয়েবসাইট গায়েব। আমাদের প্রশ্ন হল, বিজনেস প্ল্যান না করে আপনারা টাকা গুলো অযথা কেনো নষ্ট করছেন? নামমাত্র ওয়েবসাইট আপনাকে কি দিবে, ভেবেছেন কখনো? ই-কমার্স ওয়েবসাইট
বাংলাদেশে ভাল মানের অনেক আইটি ইন্ড্রাস্ট্রি আছে তাদের সাথে সরসারি মিটিং করুন, ওয়েবসাইট তৈরি পরবর্তী প্ল্যান গুলো তাদের সহযোগিতায় বানিয়ে নিন। তারপর মাঠে নামুন। আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের ওয়েবসাইট বানানো থেকে নিরুসাহিত করা নয়, বরং বিজনেস গাইড-লাইন নিয়ে ওয়েবসাইট থেকে আসলেই যে ভাল সেল জেনারেট করা যায় সেটি বোঝানো।
আপনার জীবনের দুটি মিনিট পোষ্টটি পড়তে যেয়ে হারানোর জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। এটি যদি আপনার বিজনেস মাইন্ডকে এতটুকু জাগ্রত করতে পারে তাহলেই আমাদের সার্থকতা। ধন্যবাদ।
বিঃ দ্রঃ ফোরসাইট আইটির যেকোন কনটেন্ট হুবহু বা পরিবর্তন বা আংশিক পরিবর্তন করে অন্যত্র পোষ্ট করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।